প্রকাশকাল: ১০ আগস্ট ২০২৪
আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৪
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এদেশের তরুণ সমাজ সর্বদা অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছে। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলন যার অতুলনীয় উদাহরণ। এ দেশের তারুণ্য চরম স্বেচ্ছাচারী ও অগণতান্ত্রিক শক্তিকে কীভাবে পরাভূত ও পরাজিত করতে হয়, তার ‘‘পাঠ্যবই’’ উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। নির্লোভ ও স্বার্থহীনভাবে কীভাবে নিজেকে উৎসর্গ করতে হয়, তার অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তরুণ শিক্ষার্থীরা। যারা জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, যারা আহত ও বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়েছেন -তাঁদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। যারা এই বিজয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং এখনও আন্দোলনের চেতনা সমুন্নত রাখতে ও বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ভূমিকার পাশাপাশি নিরলস পরিশ্রম করে রাস্তায় রাস্তায় অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করছে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। বাংলাদেশের তরুণদের এই দৃষ্টান্ত অনাগত দিনে বৈশ্বিক পর্যায়ের যে কোনো ন্যায়ভিত্তিক আন্দোলনের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। একইসঙ্গে ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে তারুণ্যের এই জয়রথ যেন সংকীর্ণ কোনো চোরাবালিতে আটকে না যায়, সেই লক্ষ্যে তাদের বাকস্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা সর্বোপরি তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন জরুরি। তরুণদের আশা-আকাক্সক্ষার ভিত্তিতে বৈষম্যহীন, সাম্য ও মেধাভিত্তিক, গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিমূলক, সুশাসিত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণই হোক এ বছর ‘‘আন্তর্জাতিক যুব দিবস’’ পালনের মূলমন্ত্র।
তারুণ্যের দুর্নিবার শক্তি, অভ্যুত্থান ও নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন
বিশ্ব যখন তরুণদের ওপর নির্ভর করে একটি টেকসই উন্নত বিশ্বে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে, ঠিক সেই মুহূর্তে তারুণ্যের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে এক ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ। একটি শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিক দাবির আন্দোলনকে প্রথমে উপেক্ষা ও পরবর্তীতে অপ্রয়োজনীয় ও নজিরবিহীন বলপ্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রকাঠামোকে সংকটের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। নির্মম হত্যাকান্ড, নির্লজ্জ মিথ্যাচার, নিপীড়ন, নির্যাতন হামলা, মামলা, গণগ্রেফতার, মানবতাবিরোধী কর্মকান্ড থেকে শুরু করে জঘন্য সকল উপায় অবলম্বন করেও তারুণ্যকে বশ করতে পারেনি স্বৈরাচার। বেসরকারি হিসাবে শিশু-কিশোর, সংবাদকর্মী ও অন্যান্য পেশাজীবীসহ প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী-জনতা হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। নিপীড়ন ও নজিরবিহীন বলপ্রয়োগের বিরুদ্ধে তারুণ্যের নেতৃত্বে জনজোয়ারে ভেসে গিয়েছে স্বৈরাচারী সরকার, পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে।
পুরো ধারণাপত্রের জন্য এখানে ক্লিক করুন