প্রকাশকাল: ২১ অক্টোবর ২০২১
বাংলাদেশে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নৃতাত্ত্বিক, পেশাগত ও বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যভিত্তিক শ্রেণি পরিচয়ের ন্যূনতম ৩ কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে যারা বিভিন্নভাবে প্রান্তিকীকরণের শিকার হয়। প্রান্তিকীকরণ বলতে এমন একটি অবস্থা বোঝানো হয় যেখানে কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তি সমাজের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদ এবং অর্থনৈতিক, ধর্মীয় বা রাজনৈতিক ক্ষমতার বলয়ে অভিগম্যতা পায় না। আবার সামাজিকভাবে বর্জন, অন্তর্ভুক্তিতে দুর্বলতা এবং কালিমা-লেপনসহ সামাজিক বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতকে প্রান্তিকীকরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় শিশু, আদিবাসী, দলিত, চরম দরিদ্র, নারী ও পুরুষ যৌনকর্মী, এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত, হিজড়া এবং প্রতিবন্ধিতাসহ ব্যক্তিদের বিভিন্ন ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সংবিধানে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা, তাদের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য বিলোপ এবং ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ ভেদ বা জন্মস্থানের ভিত্তিতে বৈষম্য প্রদর্শন না করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। জাতিসংঘের ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টে’ ‘কাউকে পেছনে না রাখার’ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে, যার লক্ষ্যমাত্রা ১০.২ - এ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন এবং তাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে, সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে যা পূরণে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ।
টিআইবি’র জাতীয় খানা জরিপ, ২০১৭ - এ দুর্নীতি দরিদ্র, নিন্ম আয়, স্বল্প শিক্ষিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য একটি বোঝা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। জরিপের তথ্য মতে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর ঘুষ ও নিয়ম-বহির্ভূত অর্থের লেনদেনের প্রভাব তুলনামূলকভাবে বেশি। এছাড়াও, বাংলাদেশে সরকারি বিভিন্ন সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে জবাবদিহি ব্যবস্থায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অভিগম্যতা ও অন্তর্ভুক্তি সম্পর্কিত জ্ঞানের ঘাটতি রয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর দুর্নীতির বোঝা এবং সম্ভাব্য জবাবদিহি ব্যবস্থা সম্পর্কে জানার আগ্রহ এবং টিআইবি’র পূর্ববর্তী গবেষণা ও অধিপরামর্শ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বর্তমান গবেষণার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিস্তারিত জানতে নিচে ক্লিক করুন-