প্রকাশকাল: ০৫ জুন ২০২৫
অবস্থানপত্র
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষায় বিশ্বব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টি, অধিপরামর্শকার্যক্রম এবং এ সংক্রান্ত বহুমুখী উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে ১৯৭৩ সাল থেকে প্রতিবছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়ে আসছে। প্রতি বছর দিবসটি সারা বিশ্বে একটি নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হয় এবং এবছর এই দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়’ (Ending Plastic Pollution)। বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ৪৩০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদন হয় যার দুই তৃতীয়াংশ একক ব্যবহার প্লাস্টিক (সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক) বর্জ্য হিসেবে যত্রতত্র ফেলা হয়। এই বর্জ্য পানি, বায়ু ও মাটি দূষণসহ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি সাধন করছে। তাই প্লাস্টিক দূষণ রোধে এ বছর জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) কর্তৃক একটি বৈশ্বিক চুক্তি তৈরি করা হচ্ছে।
সার্বিকভাবে, ২০২৫ সালের বিশ্ব পরিবেশ দিবস বিশ্ববাসীর কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বৈশ্বিক পর্যায়ে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সুশাসনে ঘাটতি: জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে প্লাস্টিক উৎপাদিত হয় এবং এই প্লাস্টিক উৎপাদনে প্রতি বছর বৈশ্বিক মোট উত্তোলিত তেলের ১২ শতাংশ এবং গ্যাসের ৮.৫ শতাংশ ব্যয় হয়। প্রতি বছর বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাসের ৩.৪ শতাংশ প্লাস্টিক উৎপাদনের উৎস থেকে নির্গমণ হয় যা জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছে। কিন্তু, বাংলাদেশসহ প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ১৯৪টি দেশের মধ্যে ১৮৩টি দেশই তাদের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অনুমিত অবদানে (এনডিসি) প্লাস্টিক থেকে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের তথ্য প্রদান করেনি। ফলে প্লাস্টিক থেকে কার্বন নিঃসরণের তথ্য জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আলোচনার বাইরে থাকছে। এছাড়া, প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে ইউএনইপি আন্তর্জাতিকভাবে বাধ্যবাধকতামূলক চুক্তির প্রস্তাব করলেও বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো প্লাস্টিকের উৎপাদন সীমা নির্ধারণের বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে। অন্যদিকে, কোনো প্রকার পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়াই সারা বিশ্বে প্রতিবছর ৩৫০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য যত্রতত্র ফেলা হয় যার অর্ধেক ভাগাড়ে যায়। এই অপচনশীল প্লাস্টিক দীর্ঘদিন পরিবেশে টিকে থাকে এবং পরবর্তীতে খাদ্য চক্রের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে ক্যান্সার ও বিবিধ স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে। উল্লেখ্য, প্লাস্টিক বর্জ্য শুধু সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রেরই বাৎসরিক ১৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি করে।
বিস্তারিত জানতে নিচে ক্লিক করুন -