প্রকাশকাল: ৩০ নভেম্বর ২০২৩
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলে অন্তর্ভুক্ত অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক দল অন্যতম। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে নাগরিকেরা নিজেদের চাহিদা সংগঠিত করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক বা যোগাযোগ স্থাপন করে। রাজনৈতিক দলসমূহ সুশাসন ও গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে তাদের অঙ্গীকার ও কর্মপরিকল্পনা সকলের উদ্দেশ্যে তুলে ধরার জন্য গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র ও ইশতেহার প্রকাশ করে। রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার ও তার কার্যকর বাস্তবায়ন একদিকে যেমন আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে তেমনি অন্যদিকে জনগণের কাছে জবাবদিহি ও অংশগ্রহণমূলক সুশাসন কাঠামো সুদৃঢ় করার অনুঘটক হিসেবেও কাজ করে। আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সুশাসন ও শুদ্ধাচার চর্চা গুরুত্বপূর্ণ হলেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, আইনের শাসন, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, অংশগ্রহণমূলক, ও দুর্নীতিমুক্ত শাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিতকরণের জনপ্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
বাংলাদেশে এখনও রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারের যথার্থ প্রায়োগিক গুরুত্ব বা তাৎপর্য অর্জন করতে না পারলেও জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক কাঠামো সুদৃঢ়, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও কার্যকর করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জাতীয় শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠান, কার্যকরী সংসদ প্রতিষ্ঠা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বিষয়ে গবেষণা ও অধিপরামর্শ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআইবি)’র ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সুশাসন-শুদ্ধাচার চর্চা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহকে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার/গঠনতন্ত্রে অন্তর্ভুক্তি ও এর কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য টিআইবি কর্তৃক এই সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
বিস্তারিত জানতে নিচে ক্লিক করুন