কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলন: কয়লাভিত্তিক জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসার ও প্রতিশ্রুত জলবায়ু অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের দাবি টিআইবির

প্রকাশকাল: ২৮ অক্টোবর ২০২১

যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে ৩১ অক্টোবর ২০২১ থেকে শুরু হতে যাওয়া কপ-২৬/জলবায়ু সম্মেলনকে প্যারিস চুক্তি পরবর্তী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু সম্মেলন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রাক-শিল্পায়ন সময় থেকে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য ১৯৬টি দেশ প্যারিস চুক্তিতে সম্মত হয় ছয় বছর আগে। কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়নের পথরেখা চূড়ান্ত করতে পারেনি দেশগুলো। ইতোমধ্যে তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প যুগ থেকে ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে।

বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং অধিক কার্বন নিঃসরণ বিশ্বব্যাপী ঘনঘন বন্যা, জলোচ্ছাস, ঘূর্ণিঝড় এবং দাবনলের ঘটনা বাড়িয়ে দিয়েছে অস্বাভাবিক ভাবে। এমন বাস্তবতায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঠেকানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা কার্বন নিঃসরণকারী জীবাশ্ম জ্বালানি, বিশেষকরে কয়লার ব্যবহার ও রপ্তানি বেড়েছে এবং অর্থায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে কয়লাভিত্তিক জ্বালানি প্রকল্পে।

অন্যদিকে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রতিশ্রুত উন্নয়ন সহায়তার ‘অতিরিক্ত’ এবং ‘নতুন’ প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিল হিসেবে প্রদানে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মুখ্যত দায়ী শিল্পোন্নত দেশসমূহ ব্যর্থ হয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলায় আলাদা কোনো তহবিল গঠন করা হয়নি। সার্বিকভাবে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে এবং জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রদত্ত অঙ্গীকার প্রতিপালনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শুদ্ধাচার নিশ্চিতে ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।

এই প্রেক্ষপটে ২০৫০ সালের মধ্যে ‘নেট-জিরো’ গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, কয়লার ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা, প্রতিশ্রুত জলবায়ু অর্থায়ন প্রদান, ইনহ্যান্সড ট্রান্সপারেন্সি ফ্রেমওয়াক/বর্ধিত স্বচ্ছতা কাঠামো ও প্যারিস রুলবুক চূড়ান্ত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে কপ-২৬ সম্মেলনে আলোচনা হবে। ধারণা করা হচ্ছে প্যারিস চুক্তি পরবর্তী সময়ে এই বিষয়গুলো নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য এই সম্মেলনই শেষ সুযোগ।


Position Paper