প্রকাশকাল: ২৯ জুন ২০১৬
দুর্নীতি দেশের উন্নয়ন ও দারিদ্র্য দূরীকরণের পথে অন্যতম প্রধান অন্তরায়। গণমাধ্যমসহ সাধারণ জনগণের দৈনন্দিন আলোচনা ও উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দুর্নীতি। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন নীতিমালা ও কৌশলপত্রে দুর্নীতিকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আইনের প্রয়োগ ও শাসন ব্যবস্থাকে দরিদ্রদের জন্য উপযোগী করে তোলার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিশেষ করে সরকারি দলের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম মূল বিষয় ছিল দুর্নীতিকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করার দৃঢ় অঙ্গীকার।
রাষ্ট্রীয় ও আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি ঘটতে পারে। নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে রাজনীতি, প্রশাসন ও বেসরকারি খাতের প্রভাবশালীদের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বড় অংকের অর্থের অবৈধ লেনদেন ঘটে যার প্রভাব সামষ্টিক ও ব্যষ্টিক পরিসরে ব্যাপক। অন্যদিকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে সেবাগ্রহীতার ন্যায্য সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে সেবাদাতা কর্তৃক নিয়ম-বহির্ভূত অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের শিকার হতে হয়, যেখানে সাধারণত ছোট অংকের অর্থ বিনিময় হয়। এ ধরনের দুর্নীতির প্রভাব সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করে, ব্যষ্টিক পর্যায়ে তাদের কল্যাণ ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে। সেবা খাতে সাধারণ মানুষের দুর্নীতির এই অভিজ্ঞতাই হচ্ছে আমাদের খানা জরিপের ক্ষেত্র।
২০১৪ এর নভেম্বর থেকে শুরু করে ২০১৫ এর অক্টোবর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের খানাগুলো বিভিন্ন খাত থেকে সেবা নিতে গিয়ে যে দুর্নীতির মুখোমুখি হয়েছে তা তুলে ধরা হয়েছে এই জরিপের মাধ্যমে। এই প্রতিবেদনে সেবা খাতে ২০১৫ এর সার্বিক দুর্নীতির পাশাপাশি সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ২০১২ এর সাথে একটি তুলনামূলক চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে।