প্রকাশকাল: ১৭ এপ্রিল ২০২৫
সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনাপ্রবাহে নজিরবিহীন রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে ৫ আগস্ট ২০২৪ কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন ঘটে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এই সরকারের কাছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার মূল প্রত্যাশা একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার উপযোগী রাষ্ট্রকাঠামো ও পরিবেশ তৈরি করা। কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা চিরস্থায়ীকরণের অপপ্রয়াসের লক্ষ্যে জবাবদিহির ঊর্ধ্বে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বহুমাত্রিক দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ, করফাঁকি ও অর্থপাচারসহ বহুমুখী দুর্বৃত্তায়নের অবারিত সুযোগ ও বিচারহীনতা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে অকার্যকর করা হয়েছিল। এই পটভূমিতে ‘নতুন বাংলাদেশের’ অভীষ্ট অর্জনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় খাত ও প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দেশের সার্বিক রাজস্ব নীতিমালা, আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন এবং লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব সংগ্রহের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড রাজস্ব সংগ্রহের বিকাশ ও নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। একইসাথে কর ফাঁকি ও অর্থপাচার রোধসহ মৌলিক ভ‚মিকা পালনে প্রত্যাশিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। এর অন্যতম কারণ বিদ্যমান আইনি ও কাঠামোগত দুর্বলতা, যোগসাজশমূলক করফাঁকি ও দুর্নীতি, রাজনৈতিক প্রভাব, দুর্বল করপদ্ধতি এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতি। এই পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও খাত সংস্কারের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তার মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে গঠিত পরামর্শক কমিটি অন্যতম।
বিভিন্ন খাতভিত্তিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনের চ্যালেঞ্জ এবং দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের ওপর সম্পন্ন গবেষণার ওপর ভিত্তি করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সংস্কারের জন্য গঠিত পরামর্শক কমিটির নিকট নিচের সুপারিশমালা প্রস্তাব করছে। এক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার কমিশন কর্তৃক প্রণীত প্রতিবেদন থেকে সংশ্লিষ্ট কতিপয় সুপারিশও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পুরো পলিসি ব্রিফের জন্য এখানে ক্লিক করুন