Policy Brief on Safer Road and Well-governed Road Transportation
Published:
04 February 2019
সড়ক পরিবহন খাত দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। এই খাতের শৃঙ্খলা ও জনস্বার্থ নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। ২০০৯ সালে পরিচালিত টিআইবি’র ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় বিআরটিএ ও স্টেকহোল্ডারদের ভূমিকা: সমস্যা ও প্রতিকারের উপায়’ শীর্ষক গবেষণায় বিআরটিএসহ সড়ক পরিবহন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, শুদ্ধাচার চর্চা ও কার্যকর জবাবদিহিতায় ঘাটতির চিত্র উঠে আসে। নিরাপদ সড়কসহ সড়ক পরিবহন খাতে জবাবদিহি, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের দাবিতে ২০১৮ সালের জুলাই মাসের শেষ ও আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে শিশু ও তরুণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সড়ক নিরাপত্তা ও এ খাতে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ব্যাপক উৎকণ্ঠা ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান পায়। এ প্রেক্ষিতে মন্ত্রিসভা ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ এর খসড়া অনুমোদন করে এবং পরবর্তীতে তা দ্রুততার সাথে জাতীয় সংসদে পাশ করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। সরকারের এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
তবে আইনটিতে যেসব বিষয় অনুপস্থিত বা অস্পষ্ট থেকে গেছে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ-পূর্বক অচিরে একটি বিধিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। তবে সুদীর্ঘকাল উপেক্ষিত ও বহুমুখী সমস্যায় জর্জরিত এ খাতে কার্যকর ও টেকসই উন্নয়ন কতিপয় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের মাধ্যমে অর্জিত হবে এমন আশা করা যায় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ও অন্যান্য অংশীজন বিষয়টিকে যেভাবে গুরুত্ব প্রদান করেছেন তার প্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় সুশাসন ও নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে টিআইবি নিম্নোক্ত সুপারিশমালা সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের বিবেচনার জন্য পেশ করছে: