প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪: পর্যালোচনা ও সুপারিশ

প্রকাশকাল: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

পটভূমি

২০২৪ সালের জুলাই মাসের হয়ে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানের ফলে সৃষ্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বহুল বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৩৯ নং আইন) বাতিল করে তার পরিবর্তে নতুন একটি অধ্যাদেশ করার উদ্যোগ গ্রহণ করায় আমরা এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত সবাইকে প্রথমেই আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। একথা বলা অতুক্তি হবে না যে, যতগুলো কারণ এই জুলাই আন্দোলনের পেছনে নিয়ামকের ভূমিকা পালন করেছিল তার মধ্যে বিগত সরকার দ্বারা উক্ত সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ এর বিধানসমূহের ব্যাপক ও যথেষ্ট অপব্যবহার ছিল অন্যতম। জনসাধারণের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করে, রাষ্ট্রীয় কাঠামো সহযোগিতা নিয়ে দেশের ভেতর সীমাহীন নজরদারির সংস্কৃতি চালুর মাধ্যমে একটি দমবদ্ধ ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করতে উক্ত আইন এবং এর পূর্বসূরী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮, এর বিভিন্ন বিধানের ভূমিকা রেখেছিল। সে কারণে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন ২০২৩ সালের উক্ত আইনটি বাতিল করে নতুন একটি অধ্যাদেশ প্রণয়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করে তখন স্বাভাবিকভাবেই তা জনসাধারণের আগ্রহের বস্তুতে পরিণত হয়।

সাইবার জগত বা পরিসর একটি ব্যাপক ও বিস্তৃত ধারণা। বর্তমান দুনিয়াতে এমন কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব না হলেও খুবই কঠিন হবে যার স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো না কোনো বিষয় এ জগতের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এছাড়া প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ডিজিটাল প্রযুক্তির যেভাবে উন্নতি হচ্ছে তাতে অতি শীঘ্রই জগতের প্রতিটি মানুষের স্বার্থ সমূহ যে এই জগতের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে সম্পৃক্ত হয়ে যাবে, তা বলাই বাহুল্য। সাইবার জগতসম্পর্কিত সকল বিষয় এবং সভ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাধারণ চর্চা বিবেচনায় নিলে এ বিষয়টি উপলব্ধি করা যাবে যে, কেবলমাত্র একটি আইন প্রণয়ন করে সকলের সব ধরনের স্বার্থের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

বিস্তারিত জানতে নিচে ক্লিক করুন