রবীন্দ্রনাথের দেশজ ভাবনা
বর্তমানে ‘সুশাসন’ শব্দটি বহুল আলোচিত হলেও এটা নতুন কোন ধারণা নয়। জনগণের প্রত্যাশিত শাসন ব্যবস্থা যা সরকারের অঙ্গীকারের আওতার মধ্যে পরে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগকে সুশাসন বলা যায়। একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশের মূল চালিকা শক্তিই হলো সে দেশে বিরাজমান সুশাসন। আজ সুশাসন বিষয়ক ‘রবীন্দ্রনাথের দেশজ ভাবনা’ বিষয়ে এই অর্বাচীন যা তুলে ধরবে তার বেশিরভাগই বিদগ্ধজনদের বিশ্লেষণের ফসল। রবীন্দ্রনাথের দেশের প্রতি বিশেষ করে তাঁর আয়ত্বাধীন অঞ্চলে সুশাসন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ বিষয়ে ক্ষুদ্রজ্ঞানে অকিঞ্চন মন্তব্য প্রকাশ করছি।
১. সমাজ-সংস্কারক রবীন্দ্রনাথ:
পুরুষশ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রনাথ তাঁর দীর্ঘ বৈচিত্র্যময় জীবনে একজন কবি, গায়ক, সুরকার, শিল্পী, বক্তা, নাট্যকার, অভিনেতা হয়েও একজন সমাজ-সংস্কারক। জনজীবনকে যুগোপযোগী রূপ দিতে আমরণ ছিল তাঁর বলিষ্ঠ সাধনা। তিনি বলেছেন, ”আমরা নিজেরা যাহা করিতে পারি তাহারই জন্য আমাদিগকে কোমর বাঁধিতে হইবে।”- রবীন্দ্র রচনাবলী, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা- ৬৬৯। তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন, উন্নত সমাজ গঠনে প্রয়োজন উন্নত সমাজ ব্যবস্থার। আর তাই তিনি উন্নততর সমাজ গড়তে তাঁর অধিনস্ত অঞ্চলে সুশাসন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন করেন। নিজের মত করে দেশের উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তিনি । সাধারণ জনগণের প্রাপ্য সুবিধা, সেবা বা অসুবিধার কথা বিবেচনা করে তিনি তাঁর আয়ত্বাধীন বাংলাদেশের গ্রামের মানুষদের কাছাকাছি এসেছিলেন। প্রয়োগ করেছেন নিজস্ব কৌশল এবং সংস্কার।