মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথিত চিকিৎসা দেয়ার নামে প্রতারণার স্বীকার একজন হিন্দু নারী শিক্ষকের কাছ থেকে প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। শিক্ষিত একজন লোককে কতটা হিপনোটাইজড করলে এরকম বোকামি কাজ তার দ্বারা করা সম্ভব এটা ভাবা কঠিন। সব স্বর্ণালংকার হারিয়ে ভয় এবং নিজের বোকামির কথা ভেবে স্বাভাবিক ভাবেই কাউকে কিছু বলতে পারছিলেন না যে, তিনি এখন কি করবেন বা করা উচিত।
টিআইবি মাদারীপুর অফিসের ‘এলাক’ এ এসে পরামর্শ চাইলে তাকে প্রথমেই বলি থানায় জিডি করতে।
জবাবে তিনি বলেন- ‘‘স্যার, জীবনে আমি কখনও কোন কারনে থানা/পুলিশের কাছে বা কোর্টে যাইনি, তাছাড়া পুলিশ তো ঘুষ ছাড়া কোন কাজ করেনা বলে জানি, স্যার, আমার খুব ভয় লাগছে পুলিশের কাছে যেতে, গিয়ে কোন কাজ হবে কিনা?’’ ইত্যাদি ইত্যাদি...
তাকে অনেক বুঝিয়ে আশ্বস্ত করে পাঠালাম মাদারীপুর সদর থানায়।
তার ভাষ্যমতে প্রথমেই তিনি তুচ্ছতাচ্ছিলের শিকার হলেন- শিক্ষিত একজনের এরকম বোকামী জন্য পুলিশ সদস্যরা একে অন্যের সাথে এ বিষয় নিয়ে হাসাহাসি করলেন, জিডি হবে নাকি মামলা হবে এ বিষয় নিয়েও তাদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ থাকায় এবং ওসি সাহেব থানায় উপস্থিত না থাকায় কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারলেন না ডিউটি অফিসার, সন্ধ্যার পর ওসি সাহেব আসবেন তখন থানায় যেতে বললেন। bvix wn‡m‡e Zvi c‡ÿ mܨvi ci evmvi evB‡i †ei nIqv m¤¢e bq weavq ciw`b Avevi _vbvq hvb wKš‘ Zvi Awf‡hvMwUi Rb¨ KvR Kiv eve` জিডি খরচ এবং প্রতারনায় ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরগুলো ট্রাকিং করে অপরাধিদের ধরার খরচ বাবদ টাকা দাবী করলেন উক্ত নারীর নিকট। ভুক্তভোগী ফোন করে বিষয়টি আমাকে জানালেন। পরদিন বিষয়টি নিয়ে ফোনে কথা বলি সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারের সাথে। ভূক্তভোগী নারী টিআইবি’র ‘এলাক’ এর ক্লায়েন্ট এটা জানার পর পুলিশ ঠিকই হাসিমুখে (তবে কষ্টে) বিনা টাকায় জিডি এন্ট্রি করে নিলেন। উক্ত সময় একই রকম আরেকটি অভিযোগ থানায় জমা পরে এবং প্রতারনায় ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরগুলোও একই, সেই ব্যক্তির নিকট থেকে নাকি জিডি বাবদ ২,০০০ টাকা, পরবর্তীতে মোবাইল ট্রাকিং এর খরচ বাবদ আরো ৪/৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। অথচ আইন অনুযায়ী জিডি করতে কোন ধরনের টাকা লাগেনা।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগটি র্যাব-৮এ ও পাঠানো হয়। কিছুদিন পর চক্রটির বিভিন্ন তথ্য উৎঘাটন করে র্যাব-৮ কর্মরত মেজর রাকিবুজ্জামান জানালেন, এরা শুধু মাদারীপুরই নয় বরিশাল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর এর অনেকের কাছ থেকে এভাবে স্বর্ণাংকার হাতিয়ে নিয়েছে। সহযোগীরা তাদের মূল হোতার পরিচয় দেয় - হিন্দুদের কাছে ব্রম্মচারী-যোগীসাধু হিসেবে এবং মুসলিমদের কাছে বুজুর্গ-পীরে কামেল কিংবা জ্বীনের বাদশা হিসেবে। আরও জানালেন, যেকোনোভাবে হোক তারা প্রতারক চক্রটির মূল হোতাসহ সকলকে বিভিন্ন কৌশলে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর একটি বিষয় হলো, চক্রটি মূলত সহজ সরল নারীদেরকেই টার্গেট করে প্রতারনা করছে।
তবে ইতিমধ্যেই র্যাব এবং পুলিশ ভিন্ন ভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে প্রতারক চক্রের পাঁচ জনকে সনাক্ত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
নিউজ লিংক ঃ
1. http://www.epaper.prothom-alo.com/contents/2017/2017_08_14/content_zoom/2017_08_14_8_8_south_b.jpg
2. http://kalerkantho.com/online/country-news/2017/10/30/559496
3. http://www.epaper.prothom-alo.com/contents/2017/2017_11_12/content_zoom/2017_11_12_9_1_south_b.jpg
4. https://www.youtube.com/watch?v=Ifk_LZvbQz8&feature=youtu.be
5. https://www.youtube.com/watch?v=bRTGvB_76mo