জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মাষ্টার্স পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেও তা অনিবার্য কারণ বশতঃ স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিতের কারণটা হলো দুর্নীতির কারণে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জেলে। একজন ব্যক্তি অপকর্মের কারণে জেলে ঢুকলো, সাথে নিয়ে গেল হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভাগ্য। আমাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কি এক ব্যক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠান, নাকি পরীক্ষা স্থগিত করে অপকর্ম ঢেকে ঐ দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার ব্যক্তিকে মুক্ত করার অপচেষ্টা।
আন্দোলন করে আমরা ভাষা পেয়েছি, স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আর এখন আন্দোলন হচ্ছে অপকর্ম ঢাকার জন্য। এক চালককে আদালত সাজা দিলো, পরিবহন ধর্মঘট শুরু হলো। আদালত অবমাননার সবচেয়ে বড় খেলাড়ি একজন পূর্ণ মন্ত্রী, তার সাথে আর একজন আধা মন্ত্রী।
মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষুধ, অনুমোদনহীন রক্ত সংগ্রহের দায়ে মোবাইল কোর্ট চালালে ক্লিনিক, ঔষুধের দোকান সব বন্ধ। এই হলো আন্দোলন!
ডাক্তারের সাথে Miss Understanding হলো সবাই মিলে রোগী দেখা বন্ধ করলেন। আমরা হাত জোড় করে তাদের পায়ে পড়তে শুরু করি, যদিও তাদের দোষ, তারপরও আমরা অসহায়। এভাবে আর কত সহ্য করতে হবে আমাদের?
রাষ্ট্র কি আমাদের সব অধিকার সঠিকভাবে ভোগ করার সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরেছে? আমাদের জানমালের নিরাপত্তা, বাক স্বাধীনতা দিতে পারছে? রাষ্ট্র কি মানুষ নামক লোভী জানোয়ারগুলোর লাগাম টেনে ধরতে পারছে? রাষ্ট্র কি মূল হোতাকে শাস্তির আওতায় আনতে পারছে? যদি উত্তরগুলো না হয়, তবে "না" এর কারণ উৎঘটনপূর্বক প্রতিকার কি জরুরী নয়?