২২-০৯-১৬ইং স্থানীয় সরকারকে স্বচ্ছ ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত নারী সদস্যদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন বাগেরহাট জেলার নবাগত জেলা প্রশাসক। তাঁর সাথে আমার প্রথম বার দেখা হবে ভেবে একটু উদগ্রীব ছিলাম কথা শোনার জন্য। কথা শুনে মনে হলো টিআইবি সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা রাখেন। সংক্ষিপ্ত আকারে চমৎকার বক্তব্য রাখেন, কিন্তু তার সম্পর্কে তেমন ধারণা পেলাম না। সরকারি পদস্থ কর্মকর্তাদের সম্পর্কে হুট করে ধারণা পাওয়া আমার মতো মানুষের পক্ষে সম্ভব না। অপেক্ষায় থাকলাম পরের বার দেখা করা বা কথা শোনার জন্য।
২৪ সেপ্টেম্বর টিআইবি অফিস খোলা জেনে ব্যক্তিগত কাজে অফিসে গিয়ে শুনলাম জেলা প্রশাসক আসবেন। পরে শুনলাম তিনি ক্লান্ত আসবেন না। কিন্তু তিনি আসলেন। সকলের কথা শুনলেন এবং আমাদের স্বপ্ন দেখালেন।
তিনি বললেন, একটি ব্যাগে করে জামা-কাপড় নিয়ে এসেছি, এভাবেই চলে যাবো, সাথে যদি আপনাদের ভালবাসা পাই তবেই বাগেরহাট আসা সার্থক হবে। মেধা দিয়ে এই অবস্থানে এসেছি কোন প্রকার আর্থিক ব্যয় নেই, সুতরাং অবৈধভাবে আয় আমার দ্বারা হবে না। সততা ও ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে কাজ করবো যতক্ষণ আছি। আমি এখানে একা থাকবো, সুতরাং দ্বিধা করার প্রয়োজন নেই, আপনারা আমার বাসায়ও দেখা করতে পারবেন। আপনাদের সমস্যা বলবেন ও পরামর্শ জানাবেন। দুর্নীতির তথ্য থাকলে আমাকে জানাবেন, আমি আমার যথাসাধ্য ব্যবস্থা নিবো। আমার আওতাধীন না হলেও যাতে করে দুর্নীতি বন্ধ হয় সেই সুপারিশ করবো উর্ধ্বতনদের নিকট।
এখন জনমুখী প্রশাসন গড়তে সরকার বদ্ধপরিকর। আগে জনগণ সেবার জন্য আসতো, এখন সেবা নিয়ে আমরা জনগণের নিকট যাবো। যে যত সাধারণের কাছাকাছি যেতে পারবে সে তত শ্রেষ্ঠ বলে প্রমাণিত হবে।
কথাগুলো মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনছিলাম। চমৎকার উপস্থাপন ছিলো, কথাগুলো শুনে স্বপ্ন দেখেছি। স্বপ্ন দেখছি দুর্নীতিমুক্ত বাগেরহাটের, স্বপ্ন দেখছি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের। কেননা, সিস্টেমে পরিবর্তন আসছে, কেউ কেউ আমাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। আর সকলে একসাথে কাজ করলে অচিরেই এ স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিবে।