একটি দেশে গণতান্ত্রিক শাসনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম, যে শাসনব্যবস্থার মূলে আবশ্যক শর্ত এই যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এবং অন্যদের সাথে তাদের পারষ্পরিক মিথস্ক্রিয়ায় গণতান্ত্রিক নিয়ম অনুসারে পরিচালিত হবে । নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের পছন্দমাফিক প্রতিনিধি বাছাই করে নেবার সুযোগ লাভ করে থাকেন। “আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব” এই স্লোগানের মধ্যে দিয়ে এই প্রত্যয়ই প্রতিফলিত হয়েছে যে জনগণ তাদের ভোটাধিকার স্বাধীনভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে পছন্দের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করবার ক্ষেত্রে অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করবেন। বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা যদি বিগত দিনগুলোর ইতিহাস পর্যালোচনা করি তাহলে দেখতে পাই সাম্প্রতিক অতীতে ২০০৮ সালে একটি গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় যা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে সকল মহলে স্বীকৃত ও প্রশংসিত হয়েছিল। সমগ্র বাংলাদেশের জনগণ সেসময় এই উপলব্ধিতে পৌঁছেছিলেন যে উক্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে তারা তাদের পছন্দমত প্রকৃত প্রতিনিধিদেরকেই সংসদে প্রেরণ করতে পেরেছেন। তারা আশাবাদী হয়ে ওঠেন
...জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসি) এর আওতায় ২০১৫ সালে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি সম্পাদন করে, যা ২০২০ সাল হতে কার্যকর হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে কোপেনহেগেন চুক্তির আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশসমূহের ক্ষতিপূরণ বাবদ উন্নত দেশসমূহ "দূষণকারী কর্তৃক পরিশোধযোগ্য” নীতি অনুসরণে উন্নয়ন সহায়তার ‘অতিরিক্ত’ এবং ‘নতুন’ হিসেবে ২০২০ সাল হতে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের যে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছিল প্যারিস চুক্তির আওতায় ২০২৫ সাল পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ১৩ এর আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় প্রতিশ্রুত তহবিল প্রদানের বিষয়ে শিল্পোন্নত দেশসমূহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর পাশাপাশি ২০১৩ সালে ইউএনএফসিসি’র কনফারেন্স অব পার্টিস (কপ) এর ১৯তম সম্মেলন (কপ১৯) এ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ঝুঁকিতে থাকা উন্নয়নশীল দেশসমূহের ‘ক্ষয়-ক্ষতি’ (loss & damage) মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় অর্থায়নের জন্য কর্মপরিকল্পনা তৈরির সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় (সিদ্ধান্ত ২/সিপি.১৯)। পরবর্তীতে কপ২২ সম্মেলনে ক্যানকুন...
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসি) এ জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশসমূহের ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে উন্নত দেশসমূহ "দূষণকারী কর্তৃক পরিশোধযোগ্য” নীতি অনুসরণের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে (অনুচ্ছেদ ৪.৪)। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালে কোপেনহেগেন চুক্তির আওতায় উন্নয়ন সহায়তার ‘অতিরিক্ত’ এবং ‘নতুন’ হিসেবে ২০২০ সাল নাগাদ প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের যে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছিলো ২০১৫ এ জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তির আওতায় ২০২৫ সাল পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার অংগীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ১৩ এর আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় প্রতিশ্রুত তহবিল প্রদানের ব্যাপারে শিল্পোন্নত দেশসমূহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পোল্যান্ডের কাতোভিতসেতে আসন্ন কপ-২৪ সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি ও ন্যায্যতা নিশ্চিতে স্বচ্ছতা কাঠামো সম্বলিত প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের রূপরেখা (রুল বুক) চূড়ান্ত করার কথা। অবস্থানপত্র এখানে
Since independence, Bangladesh has experienced different forms of systems and governments – from electoral democracy to military rule, from one party to multi-party system, and from presidential to parliamentary legislature. Likewise, the party system experienced noteworthy changes since the birth of Bangladesh (Jahan, 2015). During the first three years after independence (1972-1975), the country moved from a one party dominant to a single party system. During the 15 years of military rule (19751990) the emergence of state-sponsored political parties was observed with the control of government power, allowing multiple political parties to operate in opposition with certain restrictions. After the restoration of electoral democracy in 1991, there was initially (1991-2001) a two-party dominant system which later changed into two electoral alliances led by the two major parties. After a two-year military-backed caretaker government system (2007-2008), a one party dominant system was...
বাংলাদেশে দুর্নীতি একটি গুরুতর সমস্যা - রাষ্ট্র ও সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতির বিস্তার গভীরভাবে ঘটেছে। দুর্নীতি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। দুর্নীতির নেতিবাচক প্রভাব সমাজের সব স্তর, বিশেষকরে ক্ষমতাকাঠামোর বাইরে অবস্থানকারী দরিদ্র, প্রান্তিক, সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ওপরসবচেয়ে বেশি।বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। ‘দরিদ্রদের মধ্যে দরিদ্রতর’ হিসেবে নারীর ওপরদুর্নীতির নেতিবাচক প্রভাব অনেক বেশি হয় বলে ধারণা করা হয়। দেশে দুর্নীতির ব্যাপকতার কারণে পুরুষের মতো নারীদেরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেবা নিতে গিয়ে দুর্নীতির শিকার হতে হয়। টিআইবি’র ২০১৫ এর খানা জরিপে দেখা যায় সারা দেশে জরিপকৃত খানাগুলোর ৯৯.৬% কোনো না কোনো সেবা খাত হতে সেবা নিয়েছে এবং সেবাগ্রহণকারী খানার ৬৭.৮% সেবা নিতে যেয়ে দুর্নীতির শিকার হয়েছে। জরিপে সেবাগ্রহীতাদের ৪২.৮% ছিল নারী যাদের ৩৮.২% দুর্নীতির শিকার হয়েছে বলে দেখা যায়। তবে টিআইবি’র খানা জরিপে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী নারীর ঘুষ দেওয়ার বা দুর্নীতির কারণে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হার কম হলেও এ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় না যে নারীর ওপর...
অবস্থানপত্র এখানে
মরক্কোর মারাকেশে সদ্য-সমাপ্ত কপ-২২ সম্মেলনে গৃহীত ‘মারাকেশ অ্যাকশন প্রোক্লাইমেশন ফর আওয়ার ক্লাইমেট অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক ঘোষণায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দ সুনির্দিষ্টভাবে দেশসমূহের জাতীয় অবস্থা বিবেচনায় ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে প্যারিস চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কপ ২২ সম্মেলন পরবর্তী প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের চলমান চ্যালেঞ্জ ও তা উত্তরণে বিভিন্ন অংশীজনের করনীয় বিষয়সমূহের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। অবস্থানপত্র এখানে
২০১৫ এর ১২ ডিসেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি)’র কপ (Conference of the Parties-COP) এর ২১ তম সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি গৃহীত হয়। ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর হতে এ চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা। এ প্রেক্ষিতে আগামী ৭-১৮ নভেম্বরে মরক্কোর মারাকাশে অনুষ্ঠিতব্য কপ ২২ সম্মেলনে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়নে আলোচনা করার কথা। প্যারিস চুক্তিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অভিযোজন বাবদ শিল্পোন্নত দেশসমূহের সরকারি উৎস হতে অনুদান প্রদানে অগ্রাধিকার প্রদান এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলায় একটি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তবে, বাংলাদেশ সহ দ্বীপ রাষ্ট্র গুলোর জন্য শিল্পোন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অভিযোজন তহবিল সংগ্রহ এবং তার ব্যবহারে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে টিআইবি সহ বৈশ্বিক নাগরিক সমাজ কপ ২১ সম্মেলনে যে আবেদন জানিয়েছিলো...
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কর্তৃক প্রণীত নিয়মিত গবেষণা ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ’ গত ২৫ অক্টোবর ২০১৫ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশের পর জাতীয় সংসদে ৯ নভেম্বর ২০১৫ অনুষ্ঠিত আলোচনা ও এ প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত বহুমুখী মন্তব্য ও অভিমতের প্রতি টিআইবি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।
বোর্ড দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, বরাবরের মত এবারের উল্লিখিত প্রতিবেদনও সম্পূর্ণ বস্তুনিষ্ঠ, তথ্য-নির্ভর, গবেষণা- প্রসূত যা সংসদ সচিবালয়, সংসদে প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ ও বিটিভি প্রচারিত সরাসরি সম্প্রচার থেকে প্রাপ্ত। গবেষণা প্রতিবেদনে বাস্তব অবস্থার প্রতিফলন ঘটেছে।
তবে প্রতিবেদনের কোন অংশ বা নির্বাহী পরিচালকের কোন বক্তব্যে যদি কোন সম্মানিত সংসদ সদস্য আহত হয়ে থাকেন তাহলে তা কেবলই ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
টিআইবি পরিচালিত পার্লামেন্ট ওয়াচ শীর্ষক গবেষণার একমাত্র উদ্দেশ্য বাংলাদেশের মহান জাতীয় সংসদের কার্যকরতা বৃদ্ধিতে গঠনমূলক অবদানের মাধ্যমে সংসদের সম্মান ও মর্যাদা উন্নত করায় অনুঘটকের ভূমিকা পালন করা। জাতীয় সংসদের প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদা বিন্দুমাত্র ক্ষুণ্ণ করা টিআইবি’র উদ্দেশ্য নয়। বরং সংসদের প্রতি প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণের প্রত্যাশা পূরণ, আস্থা ও সম্মান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে, এই লক্ষেই উক্ত গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি পরিচালিত হয়।
টিআইবি'র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের অবস্থান এখানে