Op-ed:
» CPI 2022: Disappointing global and Bangladesh performances
চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। কার্যকর ও টেকসই চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার (চিহ্নিত ও পৃথককরণ, সংগ্রহ, পরিবহণ, পরিশোধন এবং অপসারণ) ঘাটতির কারণে পরিবেশ দূষণ, সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শয্যা প্রতি দৈনিক গড়ে উৎপন্ন চিকিৎসা বর্জ্যরে পরিমাণের হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি মাসে প্রায় ৭ হাজার ৪৪০ টন চিকিৎসা বর্জ্য উৎপন্ন হয় যার অধিকাংশই সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত নয়। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ১১.৬-তে নগরসমূহে সকল ধরনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রতি গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে এবং উৎপন্ন বর্জ্যর ফলে সৃষ্ট পরিবেশগত প্রভাব কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া অভীষ্ট ৩, ৬, ৮, ১২ ও ১৩ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ত্বরান্বিত করতে টেকসই চিকিৎসা বর্জ্যরে সঠিক ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জাতীয় পরিবেশ নীতি (২০১৮)
...জাতীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নীতি প্রণয়ন না করেই সম্প্রতি সরকার জ্বালানি মহাপরিকল্পনা বা ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান (আইইপিএমপি)-এর খসড়া প্রস্তুত করেছে। বেসরকারি মালিকানায় আমদানিনির্ভর তেল-কয়লা-এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়কে প্রাধান্য দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুৎ সংকটসহ জ্বালানি খাতে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে তেল ও এলএনজির দাম বৃদ্ধির কারণে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ প্রদান অব্যাহত রয়েছে, অন্যদিকে লোডশেডিং-এর ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং কৃষি ও শিল্প উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সার্বিকভাবে আইনি দুর্বলতা, নীতিকাঠামোর জিম্মিদশা এবং স্বচ্ছতার ঘাটতির ফলে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে জনগণের ক্ষতি ও বোঝা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে কয়লা ও এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে সুশাসনসহ ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান (আইইপিএমপি) প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামত গ্রহণ, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উৎপাদন এবং এ খাত সংশ্লিষ্ট টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট
...টিআইবি ২০১৮ সাল থেকে নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের জন্য ‘এসডিজি, সুশাসন এবং নারী’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় স্থানীয় পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যক্রম পরিচালনায় চ্যালেঞ্জ তুলে ধরার অভিপ্রায়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে, যা ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর প্রকাশিত হয়। এই গবেষণার ওপর ভিত্তি করে এই পলিসি ব্রিফ তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গবেষণার প্রতিবেদন ও অন্যান্য ডকুমেন্ট ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে পাঠানো হয়েছে, যা টিআইবি’র ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাবে।
গবেষণায় দেখা যায়, অবৈধ আর্থিক সুবিধায় যোগসাজশের জন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের পক্ষ থেকে অনেক ক্ষেত্রে নারী ইউএনওদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়। তাঁদেরকে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের দপ্তরের সাথে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়, এবং উপজেলা প্রশাসনের কাছে চাহিদার প্রেক্ষিতে অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ ফোর্সের সহযোগিতা পাওয়া যায় না। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিবিদদের থেকে
...বাংলাদেশে ২০২০ সালের মার্চ থেকে শুরু হওয়া করোনাভাইরাস অতিমারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি একদিকে যেমন বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা (সাধারণভাবে এনজিও হিসেবে পরিচিত) কর্তৃক স্ব স্ব অবস্থান হতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়, অন্যদিকে এই সংকটের শুরুর দিকে এসব বেসরকারি সংস্থার ভূমিকা নিয়েও বিভিন্ন মহল হতে প্রশ্ন ওঠে। এই পরিপ্রেক্ষিতে করোনা সংকট মোকাবিলায় বেসরকারি সংস্থাসমূহ প্রকৃতপক্ষে কী ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে ও তাদের অবদানের ব্যাপ্তি কী, এবং তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ ও শুদ্ধাচার চর্চা পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে টিআইবি একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে, যা ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়। এই গবেষণায় ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বর্তমান পলিসি ব্রিফটি তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গবেষণার প্রতিবেদন ও অন্যান্য নথি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে পাঠানো হয়েছে, যা টিআইবি’র ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাবে।
গবেষণায় দেখা যায়, করোনা সংকটে বেসরকারি সংস্থাগুলোর একটি বড় অংশই বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এসব সাড়াদানকারী সংস্থার একটি বড় অংশ তাদের সাধারণ ও চলমান প্রকল্পের তহবিল থেকে ব্যয় নির্বাহ করে ত্রাণ ও খাদ্য
...একটি দেশে গণতান্ত্রিক শাসনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম, যে শাসনব্যবস্থার মূলে আবশ্যক শর্ত এই যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এবং অন্যদের সাথে তাদের পারষ্পরিক মিথস্ক্রিয়ায় গণতান্ত্রিক নিয়ম অনুসারে পরিচালিত হবে । নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের পছন্দমাফিক প্রতিনিধি বাছাই করে নেবার সুযোগ লাভ করে থাকেন। “আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব” এই স্লোগানের মধ্যে দিয়ে এই প্রত্যয়ই প্রতিফলিত হয়েছে যে জনগণ তাদের ভোটাধিকার স্বাধীনভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে পছন্দের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করবার ক্ষেত্রে অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করবেন। বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা যদি বিগত দিনগুলোর ইতিহাস পর্যালোচনা করি তাহলে দেখতে পাই সাম্প্রতিক অতীতে ২০০৮ সালে একটি গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় যা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে সকল মহলে স্বীকৃত ও প্রশংসিত হয়েছিল। সমগ্র বাংলাদেশের জনগণ সেসময় এই উপলব্ধিতে পৌঁছেছিলেন যে উক্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে তারা তাদের পছন্দমত প্রকৃত প্রতিনিধিদেরকেই সংসদে প্রেরণ করতে পেরেছেন। তারা আশাবাদী হয়ে ওঠেন
...Full Report (Bangla) Extended Executive Summary (English) Executive Summary (Bangla) Presentation Infographics FAQ
ইতোপূর্বে টিআইবি’র গবেষণাসহ গণমাধ্যমে করোনার অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক গৃহীত ‘২,৫০০ টাকা নগদ সহায়তা’ এবং ‘১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয়’ কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন সুশাসনের ঘাটতি চিহ্নিত করা হয়েছিল। টিসিবি’র এই ফ্যামিলি কার্ড কর্মসূচির কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর এই কর্মসূচিতেও তালিকাভুক্ত হওয়া থেকে শুরু করে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য ক্রয় পর্যন্ত দরিদ্র জনগণের নানা প্রকার হয়রানি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। এসব জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিশেষত দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্যে গৃহীত কার্যক্রমে প্রবেশগম্যতা ও সুশাসনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে গবেষণা ও অধিপরামর্শ কার্যক্রম পরিচালনা করা টিআইবি’র অব্যাহত কার্যক্রমের অংশ। এর ধারাবাহিকতায় টিসিবি’র ‘ফ্যামিলি কার্ড’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা ও গবেষণাভিত্তিক অধিপরামর্শ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে এই গবেষণার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
গবেষণার উদ্দেশ্য
এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ড কর্মসূচির মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম সুশাসনের দৃষ্টিভঙ্গীতে পর্যালোচনা করা। সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে -
-
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতনের শিকার হওয়া ‘বীরাঙ্গনা’ মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সুযোগ-সুবিধা প্রদানের প্রক্রিয়া সুশাসনের আঙ্গিকে পর্যালোচনা করার উদ্দেশ্যে টিআইবি একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার ফলাফল ২০২২ সালের ১৬ জুন প্রকাশ করা হয়। গবেষণার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ও অন্যান্য সংশিষ্ট নথি ইতোমধ্যে সংশিষ্ট অংশীজনের কাছে পাঠানো হয়েছে, এবং টিআইবি’র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীদের তাদের আত্মত্যাগের সম্মানার্থে ‘বীরাঙ্গনা’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। নির্যাতিতা এই নারীদের ২০১৫ সালে ‘নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা)’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও অধিকার প্রদানের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের কয়েক দশক পরে হলেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বীরাঙ্গনাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান সরকারের একটি অনন্য পদক্ষেপ। তবে শুরু থেকেই বীরাঙ্গনাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সুযোগ-সুবিধা প্রদানের প্রক্রিয়া নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন ও অভিযোগ। বর্তমান গবেষণায় দেখা যায়, বীরাঙ্গনাদের চিহ্নিত করা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও
...বিদ্যুৎ ও জ্বালানি একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ খাত। চাহিদার অপরিহার্যতার প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ সরকারের একটি অগ্রাধিকার ক্ষেত্র। শতভাগ বিদ্যুতায়নসহ এখাতে সরকারের সাফল্যও উল্লেখযোগ্য। দেশের সকল জনগণের জন্য সুলভ, সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানি সরবরাহের প্রতিশ্রুতিও সরকার দিয়েছে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতির (১৮-ক অনুচ্ছেদ) অংশ। এছাড়া,প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যা টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট ৭ এবং ১৩ অর্জনেরও পূর্বশর্ত। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এমন প্রতিশ্রুতি থাকলেও সরকার পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)-কে প্রাধান্য দিয়ে জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করছে। এছাড়া, দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ আইন ২০১০-এর আওতায় জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো অনুমোদন এবং পরিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকায় তা বাস্তবায়ন এখাতে সুশাসন নিশ্চিতে একটি বড় চ্যালেজ্ঞ। এ প্রেক্ষিতে প্রকল্পগুলোর পরিকল্পনা, অনুমোদন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার দিকসমূহ
...