প্রকাশকাল: ৩০ অক্টোবর ২০২৩
গবেষণার যৌক্তিকতা
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টে ২০৩০ সালের মধ্যে সকল ধরনের গ্রীস্মমণ্ডলীয় রোগের (Tropical Disease) মহামারী নির্মূল করার প্রত্যয় (অভীষ্ট ৩) ব্যক্ত করা হয়েছে। ডেঙ্গু ব্যাপকতা বৃদ্ধি বিষয়ক পূর্ব সতর্কতা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাসময়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণে ঘাটতি, মশা নিয়ন্ত্রণে অব্যবস্থাপনা, কীটনাশক ক্রয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি, চিকিৎসা ব্যবস্থার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি গ্রহণ না করায় রোগীদের হয়রানি ও মৃত্যু, চিকিৎসা সামগ্রীর সংকট তৈরি ইত্যাদি অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় টিআইবি’র কার্যক্রমে স্বাস্থ্য একটি অন্যতম খাত। যার ধারাবাহিকতায় টিআইবি ২০১৯ সালে একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ঢাকা শহরে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সুশানের চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে এবং এই চ্যালেঞ্জ থেকে উত্তরণে ধারাবাহিকভাবে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে অধিপরামর্শ কার্যক্রম বজায় রেখেছে। টিআইবি’র অধিপরামর্শ কার্যক্রমের অংশ হিসাবে এবছর (২০২৩) জুলাই মাসে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের করণীয় হিসাবে কিছু সুপারিশমালা প্রদান করলেও তাতে গুরুত্ব প্রদান না করা হয়নি। প্রায় দুই দশক ধরে অব্যাহত থাকা ডেঙ্গু সংকট মোকাবিলায় টিআইবিসহ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞ নানাবিধ সুপারিশ প্রস্তাব করলেও এই সুপারিশ বাস্তবায়ন কতটুকু কার্যকর হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা থেকে ও সার্বিকভাবে স্বাস্থ্য খাতে টিআইবি’র চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই গবেষণা কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
গবেষণার উদ্দেশ্য
এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ডেঙ্গু সংকট প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা। সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যগুলো হচ্ছে-
▪ এডিস মশা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা
▪ ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ব্যবস্থায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা
▪ এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ ও ডেঙ্গু চিকিৎসা ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের ভূমিকা পর্যালোচনা করা এবং
▪ ডেঙ্গু সংকট প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সুশাসনের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সুপারিশ প্রদান করা।
বিস্তারিত জানতে নিচে ক্লিক করুন-