প্রকাশকাল: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। কার্যকর ও টেকসই চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার (চিহ্নিত ও পৃথককরণ, সংগ্রহ, পরিবহণ, পরিশোধন এবং অপসারণ) ঘাটতির কারণে পরিবেশ দূষণ, সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শয্যা প্রতি দৈনিক গড়ে উৎপন্ন চিকিৎসা বর্জ্যরে পরিমাণের হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি মাসে প্রায় ৭ হাজার ৪৪০ টন চিকিৎসা বর্জ্য উৎপন্ন হয় যার অধিকাংশই সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত নয়। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ১১.৬-তে নগরসমূহে সকল ধরনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রতি গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে এবং উৎপন্ন বর্জ্যর ফলে সৃষ্ট পরিবেশগত প্রভাব কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া অভীষ্ট ৩, ৬, ৮, ১২ ও ১৩ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ত্বরান্বিত করতে টেকসই চিকিৎসা বর্জ্যরে সঠিক ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জাতীয় পরিবেশ নীতি (২০১৮) হাসপাতালে দৈনিক উৎপাদিত চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণসহ তা ব্যবস্থাপনায় কার্যকর পদ্ধতি গ্রহণ বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
গবেষণার উদ্দেশ্য
এই গবেষণার সার্বিক উদ্দেশ্য চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জসমূহ চিহ্নিত করা। সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য হলো:
১) চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট আইন, নীতি ও বিধি পর্যালোচনা এবং তা প্রতিপালনে সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জসমূহ চিহ্নিত করা;
২) চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম ও দুর্নীতির ধরন, কারণ ও মাত্রা চিহ্নিত করা; এবং
৩) গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে অধিকতর সুশাসনের জন্য সুপারিশ প্রস্তাব করা।
বিস্তারিত জানতে নিচে ক্লিক করুন-