বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও অধিকার: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণের উপায়

প্রকাশকাল: ১৬ জুন ২০২২

মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। স্বাধীনতার সূচনালগ্ন হতেই মূলত তারাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জনগণের কাছে সম্মানিত এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত হয়েছেন যারা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন, যুদ্ধ সংঘটিত করেছেন, এবং প্রশাসনিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের নারীদের একটা বড় অংশ কোনো না কোনোভাবে যুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে নারীর অংশগ্রহণ ও ভূমিকা সেভাবে কখনোই দৃশ্যমান হয়ে উঠেনি বা মূল্যায়িত হয়নি।

১৯৭১ সালে পাকবাহিনী তাদের দোসর রাজাকার ও দালালদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বাংলাদেশের নারীদের ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছিল। সরকারি হিসাব মতে, ২ লক্ষ নারী যুদ্ধকালীন সময়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তবে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী এ সংখ্যা ছিল ৬ লক্ষ হতে ১০ লক্ষ। স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭১ সালের ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীদেরকে তাদের আত্মত্যাগের সম্মানার্থে ‘বীরাঙ্গনা’ উপাধি দেয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দ্বারা নির্যাতিতা নারীদেরকে ‘বীরাঙ্গনা’ হিসেবে সম্মানিত করার ঘোষণা দেন। প্রথম পঞ্চবার্ষিক (১৯৭৩-১৯৭৮) পরিকল্পনাতে স্বাধীনতা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গৃহীত হয়। সরকারি উদ্যোগকে বেগবান করতে বেসরকারি ও নাগরিক উদ্যোগও যোগ হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসন বিষয়ক সকল কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যায়।

এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বীরাঙ্গনাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং অধিকার প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সুশাসনের দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করা। সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যসমূহ হচ্ছে -

১. বীরাঙ্গনাদের গেজেটভুক্তি ও সুবিধা প্রদান করা জন্য গৃহীত পরিকল্পনা ও কর্মসূচি পর্যালোচনা করা;
২. এই কার্যক্রমে বিদ্যমান সুশাসনের ঘাটতি, ঘাটতির কারণ ও ফলাফল বিশ্লেষণ করা;
৩. গবেষণার ফলাফলের আলোকে সুপারিশ প্রণয়ন করা।

বিস্তারিত জানতে নিচে ক্লিক করুন -