09 September 2019

বাংলাদেশের সংবিধানের ৪২(১) অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকের সম্পত্তি অর্জন, ধারণ ও হস্তান্তরের অধিকার প্রদান করা হয়েছে। সম্পত্তি অর্জন, ধারণ ও হস্তান্তরের ক্ষেত্রে দলিল নিবন্ধন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। দলিল নিবন্ধনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দলিলের বিশুদ্ধতার চ‚ড়ান্ত নিশ্চয়তা প্রদান করা; সম্পত্তি হস্তান্তর সম্পর্কে সর্বসাধারণকে জ্ঞাতকরণ; জালিয়াতি রোধ; কোনো সম্পত্তি পূর্বে হস্তান্তরিত হয়েছিল কি না তা অনুসন্ধানে তথ্যভান্ডার থেকে সহায়তা প্রদান; এবং স্বত্তে¡র দলিলের নিরাপত্তা প্রদান এবং মূল দলিল খোয়া গেলে বা ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে মূল দলিলের অস্তিত্ব প্রমাণার্থে সহায়তা প্রদান করা।
উপমহাদেশে ১৮৬৪ সালে দলিল নিবন্ধন পদ্ধতির প্রবর্তন হয় এবং পরবর্তীতে ‘নিবন্ধন আইন-১৯০৮’ অনুযায়ী মূল্য নির্বিশেষে সব ধরনের সম্পত্তি হস্তান্তরের জন্য নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়। নিবন্ধন আইন ১৯০৮ এর ১৭ ধারা অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধনযোগ্য দলিলগুলো হচ্ছে মূল্য নির্বিশেষে সব ধরনের স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সাফ কবলা দলিল; হেবা/দানপত্র দলিল; বন্ধকী দলিল; সম্পত্তির বাটোয়ারা দলিল; বায়না চুক্তির দলিল; এওয়াজ বদল দলিল; আমমোক্তারনামা; উইল ইত্যাদি। বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধনযোগ্য দলিলের ক্ষেত্রে নিবন্ধন না হলে ঐ দলিল নিয়ে কোনো আদান-প্রদান প্রমাণিত হয় না। 
বিস্তারিত জানতে নিচে ক্লিক করুন
মূল প্রতিবেদন (বাংলা)
সার-সংক্ষেপ (বাংলা)
Executive Summary (English)
উপস্থাপনা
FAQ