সাভার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়
০৪ মার্চ ২০১৯
শিক্ষা মানুষের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকার। আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা হলো শিক্ষা ব্যবস্থার মূল স্তম্ভ। এখান থেকেই পরবর্তী শিক্ষার ভিত রচিত হয়। সরকার প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্বকে বিবেচনায় নিয়ে ১৯৮০ সালে দেশে অবৈতনিক সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৩ সাল থেকে পাঁচ বছর মেয়াদি বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তন করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষায় সকল শিশুর ভর্তি নিশ্চিতকরণ ও গুণগত মান উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- বেসরকারি বিদ্যালয় জাতীয়করণ ও অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যালয় গমনোপযোগী শতভাগ শিশু ভর্তি নিশ্চিতকরণ, সকল শিক্ষার্থীর হাতে বছরের শুরুতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই পৌঁছে দেওয়া, শতভাগ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির আওতায় আনা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালুকরণ, ইত্যাদি। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ৪ - এ (‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল’ বা সংক্ষেপে এসডিজি) সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষালাভের সুযোগ সৃষ্টির বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত অভীষ্টের ৪.১ ও ৪.২ এ ২০৩০ সালের মধ্যে সকল ছেলে ও মেয়ে যাতে প্রাসঙ্গিক ও কার্যকর অবৈতনিক, সমতা-ভিত্তিক ও গুণগত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করতে পারে এবং প্রাথমিক শিক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাসহ শৈশবের একেবারে গোড়া থেকে মানসম্মত বিকাশ ও পরিচর্যার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে তার নিশ্চয়তা বিধান করা। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায়ও এসডিজি অর্জনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিতকরণ ও বৈষম্য হ্রাস; প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা বিকেন্দ্রিকরণ ও কার্যকরতা বৃদ্ধি; বিদ্যালয়ে শিখন ও শিক্ষণ প্রক্রিয়ার উন্নয়ন; অর্থ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি অর্জনের লক্ষ্য ও কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে।