প্রকাশকাল: ২৫ মে ২০২৫
প্রেক্ষাপট
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনাপ্রবাহে নজিরবিহীন রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন ঘটে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ৮ আগস্ট ২০২৪ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এই সরকারের কাছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার মূল প্রত্যাশা একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার উপযোগী রাষ্ট্রকাঠামো ও পরিবেশ তৈরি করা। এই ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ১১টি খাত ও প্রতিষ্ঠানের জন্য সংস্কার কমিশন গঠন করলেও শিক্ষাখাতের সংস্কার নিয়ে কোনো কমিশন গঠন করেনি।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে একটি অভিন্ন, গণমুখী ও সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টে ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষালাভের সুযোগ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন প্রকার সামাজিক-অর্থনৈতিক এবং আন্তপ্রজন্ম বৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে শিক্ষার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সমতাভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক ও পরমতসহিষ্ণু সমাজ প্রতিষ্ঠায় শিক্ষা ব্যবস্থার কৌশলগত সংস্কার ও এর কার্যকর বাস্তবায়ন প্রয়োজন। তবে বিভিন্ন সময়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে স্বার্থান্বেষী মহল ও গোষ্ঠীর স্বার্থে একটি বৈষম্যমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা খাতে বিদ্যমান নানাবিধ সীমাবদ্ধতা এবং বহুমুখী অনিয়ম- দুর্নীতিসহ সুশাসনের চ্যালেঞ্জের কারণে মানসম্মত, যুগোপযোগী, সর্বজনীন ও সমতাভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি।
শিক্ষা খাতের গুরুত্ব বিবেচনা করে এই খাতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠান নিয়ে টিআইবি নিয়মিতভাবে গবেষণা এবং এসব গবেষণায় চিহ্নিত সুশাসনের চ্যালেঞ্জ থেকে উত্তরণে অধিপরামর্শ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
পুরো পলিসি ব্রিফের জন্য এখানে ক্লিক করুন