প্রকাশকাল: ০৩ নভেম্বর ২০২৪
আজারবাইজানের বাকুতে ১১-২২ নভেম্বর ২০২৪ থেকে শুরু হতে যাওয়া কপ-২৯/জলবায়ু সম্মেলনে দ্রুত গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় ২০২৫ সাল পরবর্তী জলবায়ু অর্থায়নের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। জাতীয় প্রতিশ্রুতি বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রাক-শিল্পায়ন সময় থেকে তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রির বেশি বৃদ্ধি রোধে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার ও রূপান্তর এবং প্যারিস চুক্তিভুক্ত দেশগুলোর হালনাগাদ জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অনুমিত অবদান (এনডিসি) প্রস্তুত এবং ২০২৫ সালের মধ্যে তা জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনে (ইউএনএফসিসিসি) জমা প্রদানের বিষয়েও সম্মেলনে গুরুত্বের সাথে আলোচিত হবে। পাশাপাশি, জ্বালানি রূপান্তর, ক্ষয়-ক্ষতি তহবিলে অর্থায়ন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং ভূমি ও নগর ব্যবস্থাপনার বিষয়সমূহ আলোচিত হবে।
তাই বাকু সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়ন এবং সম্মেলনের এজেন্ডাভুক্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত-গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সুশাসনের নিম্ন লিখিত বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে;
- জলবায়ু অর্থায়নের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় শুদ্ধাচারের ঘাটতি: ২০১৫ সালে জলবায়ু সম্মেলনে ২০২৫ সালের মধ্যে জলবায়ু অর্থায়নের নতুন সম্মিলিত ও পরিমাপযোগ্য লক্ষ্য (নিউ কালেক্টিভ কোয়ান্টিফায়াবল গোল-এনসিকিউজি) নির্ধারণে এনসিকিউজি-বিষয়ক একটি কমিটি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই কমিটি ২০২৪ সালে তাদের কার্যক্রম সমাপ্ত করবে। কিন্তু এ সংক্রান্ত কার্যক্রমে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান যার মধ্যে অন্যতম হলো;
প্রতিশ্রুত জলবায়ু তহবিল সরবরাহে ঘাটতি: প্যারিস চুক্তিতে প্রতিশ্রুত জলবায়ু তহবিল প্রদান বাধ্যতামূলক না করে ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে। ফলে উন্নয়নশীল দেশের জন্য প্রয়োজনীয় জলবায়ু অর্থায়ন প্রাপ্তি ক্রমেই কঠিন ও অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। সার্বিকভাবে, জলবায়ু তহবিল প্রদানে যে ঘাটতিসমূহ বিদ্যমান তার মধ্যে অন্যতম হলো;
জলবায়ু অর্থায়নের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং তা সংগ্রহে রোডম্যাপের অনুপস্থিতি: ২০২৫-পরবর্তী নতুন অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ, অভিযোজন, প্রশমন, ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলাসহ ২০২৫-পরবর্তী বৈশ্বিক জ্বালানি রূপান্তরে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি, অর্থ সরবরাহ পদ্ধতি এবং সময়াবদ্ধভাবে তা প্রদান নিশ্চিতে রোডম্যাপ বা পরিকল্পনা তৈরি করা হয়নি।
- ক্ষতিগ্রস্ত দেশের চাহিদাভিত্তিক অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা নিরূপণে ঘাটতি: ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদান একটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ছিলো যা ক্ষতিগ্রস্ত দেশের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে করা হয়নি। অন্যদিকে, এনসিকিউজি-বিষয়ক কমিটি ২০২৫ সাল পরবর্তী জলবায়ু অর্থায়নের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের চাহিদা বিবেচনা এবং তা বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিতে নিরূপণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
পুরো পলিসি ব্রিফের জন্য এখানে ক্লিক করুন