Good Governance in Tax & Revenue Services: Reality and Recommendations

প্রকাশকাল: ৩০ অক্টোবর ২০২৩

বিভিন্ন ধরনের কর এবং শুল্ক সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের একটি প্রধান উৎস। বিভিন্ন প্রত্যক্ষ কর (যেমন- আয়কর,বিদেশ ভ্রমণ কর) এবং পরোক্ষ করের (যেমন- মূল্য সংযোজন কর-মূসক, আমদানি-রপ্তানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক) মাধ্যমে সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ হয়ে থাকে। কর এবং শুল্ক ব্যবস্থাপনা সুদৃঢ় করতে সরকার প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দাখিল এবং আয়কর প্রদানের জন্য স্পট অ্যাসেসমেন্ট-পদ্ধতি, আয়কর-সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য কণিকা, আয়কর রিটার্ন ফরম সহজে পূরণ করার পদ্ধতি, আয়কর আইনের ধারাসমূহের সহজ বিবরণ ওয়েবসাইটে এবং পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করে তা জনগণের জন্য সহজলভ্য করা, আয়কর মেলা এবং অনলাইনে ই-টিআইএন নিবন্ধন এবং কর প্রদান, অনলাইনে মূসক নিবন্ধন ও রিটার্ন জমাদানের পদ্ধতি প্রবর্তন উলেখযোগ্য। এ সকল উদ্যোগ সত্ত্বেও, কর এবং শুল্ক-সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা কার্যক্রমে সেবাগ্রহীতাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের শিকার হতে হয়।

উল্লিখিত জাতীয় খানা জরিপে অংশগ্রহণকারী খানার মধ্যে সার্বিকভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির শিকার হয়েছে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ খানা। কর ও শুল্ক সেবা গ্রহণকারী খানার ১০ দশমিক ৪ শতাংশ ঘুষ বা নিয়ম-বহির্ভূত অর্থ দিয়েছে/দিতে বাধ্য হয়েছে এবং ৯ দশমিক ২ শতাংশ খানা অন্যান্য (সময়ক্ষেপণ, আইনের ধারার অযুহাত দেখিয়ে হয়রানি, প্রভাব বিস্তার, তথ্য প্রদানে অসহযোগিতা, ফাইল আটকিয়ে রাখা/ফাইল হারিয়ে ফেলা ইত্যাদি) দুর্নীতির শিকার হয়েছে। যে সকল খানা কর ও শুল্ক-সংক্রান্ত সেবায় ঘুষ বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দিয়েছে তাদের গড়ে ৪ হাজার ৭৮৮ টাকা দিতে হয়েছে।

পুরো পলিসি ব্রিফের জন্য এখানে ক্লিক করুন