প্রকাশকাল: ৩০ অক্টোবর ২০২৩
যে কোনো দেশের মত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকিং সেবা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থা দুই ধরনের - তফসিলি ব্যাংক (মোট ৬১টি) এবং অ-তফসিলি ব্যাংক (মোট পাঁচটি) রয়েছে। তফসিলি ব্যাংকের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, তিনটি বিশেষায়িত উন্নয়ন ব্যাংক, তেতালিশটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং নয়টি বৈদেশিক বাণিজ্যিক ব্যাংক আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সকল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে থাকে। ব্যাংক জনগণের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের আমানত (সঞ্চয়ী হিসাব, বিশেষ হিসাব, বিশেষ স্কিম প্রভৃতি) সংগ্রহ করে থাকে এবং জনগণকে বিভিন্ন ধরনের ঋণ (ব্যক্তিগত ঋণ, ব্যাবসায়িক ঋণ, বাড়ি নির্মাণের জন্য ঋণ প্রভৃতি) প্রদান করে থাকে। এ ছাড়া ব্যাংক হিসাব/এলসি খোলা, রেমিট্যান্স উত্তোলন, পে/মানি অর্ডার, কৃষি ঋণ, সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির আওতায় প্রাপ্ত ভাতা উত্তোলন, বেতন, ভাতা পেনশনের টাকা উত্তোলন প্রভৃতি সেবা প্রদান করে থাকে। কিন্তু এই খাত থেকে সেবা গ্রহণের সময় সাধারণ জনগণের নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির শিকার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জরিপে অংশ নেওয়া খানার মধ্যে যেসব খানার কোনো না কোনো সদস্য ব্যাংকিং খাত হতে সেবা গ্রহণ করেছে, তাদের ১৫ শতাংশ দুর্নীতির শিকার হয়েছে, যেখানে গ্রামাঞ্চল (৮ শতাংশ) অপেক্ষা শহরাঞ্চলের (১৮.৫ শতাংশ) সেবাগ্রহীতা খানাগুলোর দুর্নীতির শিকার হওয়ার হার তুলনামূলকভাবে বেশি। অপরদিকে ব্যাংকিং খাত হতে সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি খানা “বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক” থেকে সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতির শিকার হয়েছে; এর পরেই রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, এবং কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। ব্যাংকের ধরনভেদে ঘুষের শিকার হওয়া খানা প্রতি গড় ঘুষের পরিমাণ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ক্ষেত্রে ৩ হাজার ৭৭২ টাকা, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের ক্ষেত্রে ২ হাজার ৯৫৬ টাকা এবং বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ক্ষেত্রে ২ হাজার ৪২৩ টাকা।
পুরো পলিসি ব্রিফের জন্য এখানে ক্লিক করুন