প্রকাশকাল: ৩০ অক্টোবর ২০২৩
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে বিমাখাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বিমাখাতের সার্বিক উন্নয়ন ও এ খাতকে যুগোপযোগী করার লক্ষে “বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ” সম্প্রতি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন, বিমাখাতে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ, বিমাসেবার সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলন, জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে বিমা মেলার আয়োজন, এজেন্টদের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা, বিমা একাডেমীকে ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে পরিণত করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ, প্রিমিয়াম জমা ও বীমা দাবি গ্রহণসহ ৫,০০০ টাকার অধিক সকল লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে বাধ্যতামূলক করা, অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণ, এবং বিমা আইন লঙ্ঘনকারী কোম্পানিকে শুনানির মাধ্যমে শাস্তির বিধান করা। এতদসত্ত্বেও বিমাখাতে বিভিন্ন সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
জরিপে অংশ নেওয়া খানার মধ্যে যেসব খানার কোনো না কোনো সদস্য বিমাখাত হতে সেবা গ্রহণ করেছে, তাদের ২২ দশমিক ২ শতাংশ দুর্নীতির শিকার হয়েছে, যেখানে গ্রামাঞ্চল (১১.৮ শতাংশ) অপেক্ষা শহরাঞ্চলের (২৬.৯ শতাংশ) সেবাগ্রহীতা খানাগুলোর দুর্নীতির শিকার হওয়ার হার তুলনামূলকভাবে বেশি। অপরদিকে বিমাখাত হতে সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি বিমা কোম্পানি (১৫.৯ শতাংশ) অপেক্ষা বেসরকারি বিমা কোম্পানি (২৩.৫ শতাংশ) থেকে সেবা গ্রহণকারী খানার দুর্নীতির শিকার হওয়ার হার বেশি। উলেখ্য যে, সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৮৪ দশমিক ২ শতাংশ খানা বেসরকারি বিমা কোম্পানি হতে এবং ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ খানা সরকারি বিমা কোম্পানি হতে সেবা গ্রহণ করেছে। বিমাখাত হতে সেবাগ্রহীতা খানাগুলো যে ধরনের দুর্নীতির শিকার হয়েছে তার মধ্যে ঘুষের শিকার, সময়ক্ষেপণ, প্রতারণা, অসদাচরণ বা দুর্ব্যবহার উলেখযোগ্য। যেসব খানা ঘুষ বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দিয়েছে তাদের গড়ে ২১ হাজার ৭৬৫ টাকা দিতে হয়েছে। যেসব খানা ঘুষ বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দিতে বাধ্য হয়েছেন তাদের ৪০ দশমিক ৪ শতাংশ খানা ‘নিয়মকানুন সম্পর্কে জানা না থাকার’ কারণে ঘুষ বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দিয়েছে বলে উলেখ করেছে।
পুরো পলিসি ব্রিফের জন্য এখানে ক্লিক করুন