প্রকাশকাল: ৩০ অক্টোবর ২০২৩
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির অবদান গুরুত্বপূর্ণ। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের মোট জাতীয় উৎপাদনে (জিডিপি) কৃষিখাতের (শস্য উৎপাদন, বনায়ন ও মৎস্য) অবদান প্রায় ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
কৃষি খাতে সরকারি উলেখযোগ্য সেবাগুলো হলো কৃষি উপকরণে ভর্তুকি প্রদান, ন্যায্যমূল্যে কৃষি উপকরণ সরবরাহ, সেচ সুবিধার সম্প্রসারণ, সেচ পরিচালনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং সেচ যন্ত্রপাতির সহজলভ্যতা বৃদ্ধি, কৃষিজাত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ, ফসল সংরক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কৃষিজাত পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা। এ ছাড়াও ঋণ বিতরণ এবং সারাদেশে কৃষক পরিবারকে উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ করা, কৃষকদের সার ও বীজ সরবরাহ, কৃষিবিষয়ক পরামর্শ এবং কৃষি খামার প্রদর্শনী করা হয়। তবে তদারকি ব্যবস্থার অপর্যাপ্ততার কারণে সেবাগুলো পেতে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির শিকার হতে হচ্ছে ।
খানা জরিপের তথ্য-উপাত্ত বিশেষণে দেখা যায়, কৃষি খাত থেকে সেবা গ্রহণকারী খানার ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ দুর্নীতি ও অনিয়মের শিকার হয়েছে, যা গ্রামাঞ্চলের খানার ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ ও শহরাঞ্চলের খানার ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। সেবাগ্রহীতা খানাগুলো যে ধরনের দুর্নীতির শিকার হয়েছে, তার মধ্যে তথ্য প্রদানে অসহযোগিতা, স্বজনপ্রীতি, সময়মতো পরামর্শ না দেওয়া, নিন্মমানের সার/বীজ প্রাপ্তি, ঘুষ বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ এবং সময়মতো সার/বীজ/কীটনাশক সরবরাহ না পাওয়া উলেখযোগ্য। যেসব খানা ঘুষ বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দিয়েছে তাদের গড়ে ২৬৬ টাকা দিতে হয়েছে। যেসব খানা ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন, তাদের ৭৯ দশমিক ৫ শতাংশ ঘুষ বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দেওয়ার কারণ হিসেবে ‘ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায় না’ উলেখ করেছেন।
পুরো পলিসি ব্রিফের জন্য এখানে ক্লিক করুন