প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৩
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা, অনিশ্চয়তার পরিমাণ ও মাত্রা এবং এর ফলে জীবন ও জীবিকার ওপর ঝুঁকিসহ বহুমুখী ক্ষয়ক্ষতি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে শক্তিশালী করা এবং এ খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দুর্যোগ-পূর্ববর্তী প্রস্তুতি, জরুরি সাড়া প্রদান এবং দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে করণীয় সম্পর্কে সরকার বিবিধ আইন, নীতিমালা ও আদেশ ও দিক-নির্দেশনা প্রদান করে। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন গবেষণায় সম্প্রতি সংঘটিত বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় গৃহীত কার্যক্রমে সুশাসনের ঘাটতি চিহ্নিত হয়েছে।
“সেবাখাতে দুর্নীতি : জাতীয় খানা জরিপ ২০২১”-এ জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে।
জরিপে অংশ নেওয়া খানার মধ্যে যে সকল খানার কোনো না কোনো সদস্য “জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ সহায়তা” সেবা গ্রহণ করেছেন, তাদের ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ দুর্নীতি ও অনিয়মের শিকার হয়েছেন। শহরাঞ্চল (২৫.২ শতাংশ) অপেক্ষা গ্রামাঞ্চলের (৩২.৮ শতাংশ) সেবাগ্রহীতা খানাগুলোর দুর্নীতির শিকার হওয়ার হার তুলনামূলকভাবে বেশি। জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে সবচেয়ে বেশি খানা দুর্নীতির (৪৪.৪ শতাংশ) শিকার হয়েছে। জেলা প্রশাসন হতে সেবা নিতে গিয়ে ১০ শতাংশ খানা দুর্নীতির শিকার হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ সহায়তার বিভিন্ন সেবার মধ্যে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সহায়তা (নলকূপ, পয়ঃনিষ্কাশন সামগ্রী, খাওয়ার পানির ব্যবস্থা, পানি শোধনকারী ওষুধ/প্রযুক্তি, দুর্যোগকালীন জরুরি ঔষধ সেবা ইত্যাদি) সংগ্রহের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক খানা (৩৫.৬ শতাংশ) দুর্নীতির শিকার হয়েছে। এসব সেবা নিতে ২৬ দশমিক ১ শতাংশ খানাকে ঘুষ বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দিতে হয়েছে।
পুরো পলিসি ব্রিফের জন্য এখানে ক্লিক করুন