প্রকাশকাল: ০১ জুন ২০২৩
বাংলাদেশে ২০২০ সালের মার্চে কোভিড-১৯ অতিমারী শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কয়েক দফায় মানুষের চলাচল ও বিভিন্ন কার্যক্রমের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এই সময়ে আরোপিত “লকডাউন” বা বিধিনিষেধ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কারণে দেশের অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। কোভিড-১৯ অতিমারী ও ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন উদ্ভুত বহুমুখী আন্তর্জাতিক অস্থিতিশীলতার ফলে দেশের অর্থনীতিতে সংকট তৈরি করে। এর সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে অব্যবস্থাপনা, দুর্বল মনিটরিং, অতিমুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ইত্যাদির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার রমজান মাসকে সামনে রেখে ২০২২ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক নিম্ম আয়ের এক কোটি পরিবারকে “ফ্যামিলি কার্ড” প্রদানের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। করোনাকালে “২,৫০০ টাকা নগদ সহায়তা” কর্মসূচির আওতাভুক্ত সকল উপকারভোগীদের এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সরকারের এই কর্মসূচিতে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অভিগম্যতা ও অন্তর্ভুক্তি, সুশাসনের চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে টিআইবি এপ্রিল-জুন ২০২২ সময়ে “টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রমে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার ফলাফল ১১ আগস্ট ২০২২ প্রকাশ করা হয় এবং যথাযথ প্রক্রিয়ায় টিসিবি কর্তৃপক্ষসহ সংশিষ্ট অংশীজনদের নিকট প্রেরণ করা হয়।
উপরোক্ত গবেষণার ওপর ভিত্তি করে এই পলিসি ব্রিফ তৈরি করা হয়েছে।
পুরো পলিসি ব্রিফের জন্য এখানে ক্লিক করুন