১৯ অক্টোবর ২০২২

জাতীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নীতি প্রণয়ন না করেই সম্প্রতি সরকার জ্বালানি মহাপরিকল্পনা বা ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান (আইইপিএমপি)-এর খসড়া প্রস্তুত করেছে। বেসরকারি মালিকানায় আমদানিনির্ভর তেল-কয়লা-এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়কে প্রাধান্য দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুৎ সংকটসহ জ্বালানি খাতে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে তেল ও এলএনজির দাম বৃদ্ধির কারণে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ প্রদান অব্যাহত রয়েছে, অন্যদিকে লোডশেডিং-এর ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং কৃষি ও শিল্প উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সার্বিকভাবে আইনি দুর্বলতা, নীতিকাঠামোর জিম্মিদশা এবং স্বচ্ছতার ঘাটতির ফলে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে জনগণের ক্ষতি ও বোঝা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে কয়লা ও এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে সুশাসনসহ ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান (আইইপিএমপি) প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামত গ্রহণ, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উৎপাদন এবং এ খাত সংশ্লিষ্ট টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট নিশ্চিতে করণীয় নির্ধারণে অংশীজনের অংশগ্রহণে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) যৌথভাবে ২০২২ সালের ০৩ আগস্ট "বাংলাদেশে কয়লা ও এলএনজি বিদ্যুৎ প্রকল্পে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ: আইইপিএমপি প্রণয়নে শুদ্ধাচার নিশ্চিতে করণীয়" শীর্ষক একটি অধিপরামর্শ সভার আয়োজন করে।

গবেষণায় প্রাপ্ত সার্বিক ফলাফলের ভিত্তিতে টিআইবি এই পলিসি ব্রিফটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করছে

পুরো পলিসি ব্রিফের জন্য এখানে ক্লিক করুন।