২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

বাংলাদেশে ২০২০ সালের মার্চ থেকে শুরু হওয়া করোনাভাইরাস অতিমারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি একদিকে যেমন বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা (সাধারণভাবে এনজিও হিসেবে পরিচিত) কর্তৃক স্ব স্ব অবস্থান হতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়, অন্যদিকে এই সংকটের শুরুর দিকে এসব বেসরকারি সংস্থার ভূমিকা নিয়েও বিভিন্ন মহল হতে প্রশ্ন ওঠে। এই পরিপ্রেক্ষিতে করোনা সংকট মোকাবিলায় বেসরকারি সংস্থাসমূহ প্রকৃতপক্ষে কী ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে ও তাদের অবদানের ব্যাপ্তি কী, এবং তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ ও শুদ্ধাচার চর্চা পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে টিআইবি একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে, যা ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়। এই গবেষণায় ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বর্তমান পলিসি ব্রিফটি তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গবেষণার প্রতিবেদন ও অন্যান্য নথি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে পাঠানো হয়েছে, যা টিআইবি’র ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাবে।

গবেষণায় দেখা যায়, করোনা সংকটে বেসরকারি সংস্থাগুলোর একটি বড় অংশই বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এসব সাড়াদানকারী সংস্থার একটি বড় অংশ তাদের সাধারণ ও চলমান প্রকল্পের তহবিল থেকে ব্যয় নির্বাহ করে ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা, নগদ অর্থ বিতরণ, সচেতনতামূলক কার্যক্রম, স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষাসামগ্রী প্রদান, গবেষণা, লাশ দাফন বা সৎকারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে। নিজস্ব আয়ের উৎস না থাকা এবং দাতা সংস্থা কর্তৃক তহবিল হ্রাস প্রভৃতি কারণে এনজিওগুলো এবং ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বিভিন্ন মেয়াদে বন্ধ থাকায় ক্ষুদ্রঋণ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো তহবিল সংকটে পড়ে। দাতা সংস্থাগুলো কোনো ক্ষেত্রে চলমান প্রকল্প থেকে তহবিল কর্তন করেছে আবার কোনো ক্ষেত্রে সংকট মোকাবিলায় নতুন তহবিল প্রদান করেছে। এই সংকটের ফলে অনেক প্রতিষ্ঠানকে তাদের কর্মীদের বেতন ভাতা কমাতে হয় বা কর্মী ছাঁটাই করতে হয়।

এই পলিসি ব্রিফ উপরোক্ত গবেষণার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে প্রণীত।

পুরো পলিসি ব্রিফের জন্য এখানে ক্লিক করুন