১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
সুশাসন ও শুদ্ধাচার গণতন্ত্রের অন্যতম পূর্বশর্ত, যার অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এ ধরনের নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা। গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে নির্বাচন কমিশনের ওপর সাংবিধানিকভাবে কেন্দ্রীয় ভূমিকা অর্পিত হয়েছে। জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান পূর্বশর্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন ও জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন, যার প্রধান দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত থাকলেও অন্যান্য অংশীজনের ভূমিকাও এ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ। এসব অংশীজনের মধ্যে রয়েছে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী বাহিনীসহ সরকারের বিভিন্ন অঙ্গ, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দল/ জোট, প্রার্থী, নাগরিক সমাজ, সংবাদ-মাধ্যম ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক।
২০০৭ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) নির্বাচন কমিশন ও বিভিন্ন নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপর গবেষণা করে আসছে। এসব গবেষণায় দেখা যায় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের জন্য রাজনৈতিক দল ও তাদের মনোনীত প্রার্থীদের আইন-বহির্ভূত উপায়ের আশ্রয় নেওয়া এবং নির্বাচনী আইন ও আচরণবিধি বিভিন্ন পর্যায়ে লঙ্ঘনের প্রবণতা রয়েছে। এছাড়া গত দুই নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত বেশিরভাগ জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের একচ্ছত্র আধিপত্য ও প্রভাব এবং নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণে ক্রমাগতভাবে জনগণের মধ্যে নির্বাচনের প্রতি অনীহা তৈরি হয়েছে, যার প্রতিফলন দেখা যায় ভোটার উপস্থিতির হার উল্লেখযোগ্যভাবে নিম্মমুখী হওয়ার মধ্যে।
এই পলিসি ব্রিফ উপরোক্ত গবেষণার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে প্রণীত।
পুরো পলিসি ব্রিফের জন্য এখানে ক্লিক করুন।