04 March 2019

দেশের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ পরিচালনায় অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরে পত্র-পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সুশাসনের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে কাঠামোবদ্ধ গবেষণার অভাব ছিলো। এই প্রেক্ষিতে টিআইবি “বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়” শীর্ষক একটি গবেষণা পরিচালনা করে যা ৩০ জুন, ২০১৪ সালে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করা হয় । গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে টিআইবি একটি সুপারিশমালা প্রদান করে এবং বিভিন্ন সময় এ বিষয়ে এডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনা করে। পরবর্তীতে ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণে দেখা যায় যে দেশের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আইনি সংস্কার; অননুমোদিত প্রোগ্রাম/কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করার নির্দেশ; সকল আউটার ক্যম্পাস বন্ধ করার নির্দেশ; দীর্ঘসূত্রতা নিরসনে সব মামলা একই বেঞ্চে আনার উদ্যোগ; অনুমোদন প্রাপ্তির ৫ বছর অতিক্রান্ত সকল বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ; যেসকল বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করেনি তাদের নতুন করে কোনো বিভাগ, প্রোগ্রাম, কোর্স অনুমোদন প্রদান না করার নির্দেশ; বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ; বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অডিটের জন্য একই ফর্ম ব্যবহারের নির্দেশনা; বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা সুপারিশকৃত তিনটি অডিট ফার্মের মধ্য থেকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় কর্তৃক বাছাইকৃত একটিফার্ম দ্বারা অডিটেরনিয়ম প্রচলন;  শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়ন; ইউজিসির ৪টি কমিটি সক্রিয় থাকা এবং আকস্মিক পরিদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া; ঢাকা শহরের মধ্যে নিজস্ব জমি না থাকলে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনে অনুৎসাহের নীতি; এ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্তকরণ, এবং সংসদের স্থায়ী কমিটির কাছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনিয়ম-দুর্নীতির ওপর প্রতিবেদন পেশ ইত্যাদি। তবে এসকল ইতিবাচক পদক্ষেপ সত্ত্বেও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যলয়গুলোতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এখনও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ লক্ষ করা যায়। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে বিদ্যমান সুশাসশনের চ্যালেঞ্জ ও অন্যান্য সমস্যার প্রেক্ষিতে জনগুরুত্বপূর্ণ এই খাতের মানোন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিবেচনার জন্য এই পলিসি ব্রিফটি উপস্থাপন করা হলো। 
পলিসি ব্রিফের জন্য এখানে ক্লিক করুন