13 April 2017

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি ও বিপদাপন্নতার দিক থেকে বাংলাদেশ শীর্ষ দেশগুলোর একটি। জলবায়ু পবিরবর্তনজনিত এই ঝুঁকি ও বিপদাপন্নতা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এসব উদ্যাগের মধ্যে রয়েছে জাতীয় অভিযোজন কর্মসূচি ও কার্যক্রম (নাপা) ২০০৫ প্রণয়ন এবং হালনাগাদকরণ (২০০৯); বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা (বিসিসিএসএপি) ২০০৯ প্রণয়ন; বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল (বিসিসিটিএফ) ২০০৯ গঠন; জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন, ২০১০ প্রণয়ন; এবং বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণুতা তহবিল (বিসিসিআরএফ) ২০১০ গঠন ইত্যাদি।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ‘জলবায়ু অর্থায়ন ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান: প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসন’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন বিগত ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ প্রকাশ করে। গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিতে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পদক্ষেপের দৃষ্টান্ত দেখা যায়। যেমন: জলবায়ু অর্থায়নে বাস্তবায়নকৃত কোনো কোনো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রকল্প তথ্য বিশেষত বাজেট ও বাস্তবায়নকৃত স্কিমের নাম প্রকল্প এলাকায় বিলবোর্ডের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়েছে; এবং কিছু এলাকায় জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় ভিন্নধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যেমন: ঘূর্ণিঝড় ও লবণাক্তপ্রবণ এলাকায় পরিবারভিত্তিক দুর্যোগ সহনশীল ঘর নির্মাণ। এছাড়া বিসিসিটি কর্তৃক প্রাথমিক পরিদর্শনের কাজটি প্রত্যেকটি প্রকল্পেই সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে গবেষণায় আরও দেখা যায় আইন ও নীতিমালার ক্ষেত্রে কিছু দুর্বলতা বিদ্যমান। যেমন: সংশ্লিষ্ট আইনসমূহে জনঅংশগ্রহণ ও ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি উল্লেখ না থাকা। এছাড়া সংশ্লিষ্ট অংশীজন, যেমন: স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও বিসিসিটির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জ্ঞান, কারিগরি দক্ষতা ও জনবলের ঘাটতি, রাজনৈতিক প্রভাব ইত্যাদি কারণে প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণের বিভিন্ন পর্যায়ে সুশাসনের নানাবিধ চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান।

 পলিসি ব্রিফ এখানে