Published: 24 February 2014
ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি: সুশাসনের সমস্যা ও উত্তরণের উপায়
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে বর্তমান সরকার গঠনকারী দলের নির্বাচনী ইশতেহারে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নতুন প্রজন্মের যুব সমাজকে দুই বৎসরের জন্য ন্যাশনাল সার্ভিস-এ নিযুক্ত করার জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে অঙ্গীকার করা হয়। এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাধ্যমিক ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের শিক্ষায় শিক্ষিত বেকার যুবদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন যুব অধিদপ্তর এই কর্মসূচির বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত। পাইলটিং কর্মসূচি অনুমোদন পেয়েছে ২০০৯-১০ অর্থবছরে এবং শেষ হয়েছে ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর। এ কর্মসূচিতে পাইলটিং হিসেবে তিনটি জেলা - কুড়িগ্রাম, বরগুনা ও গোপালগঞ্জ নির্বাচন করা হয়। পাইলটিং শেষে সরকারিভাবে একটি মূল্যায়ন সমীক্ষা করা হলেও প্রকল্প বাস্তবায়নকালীন যে নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার ওপর পর্যাপ্ত আলোকপাত করা হয়নি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) দেশব্যাপি দুর্নীতিবিরোধী চাহিদা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নাগরিকদের সচেতন ও সোচ্চার করার জন্য কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির ওপর একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে এই কর্মসূচিতে বিদ্যমান সমস্যা, সীমাবদ্ধতা, অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরা হয়। এই গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত সুপারিশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিকে ভবিষ্যতে আরও দক্ষ, সফল ও দুর্নীতিমুক্তভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে মনে করে।
পুরো পলিসি ব্রিফের জন্য এখানে ক্লিক করুন।